আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭/১১/২০২৫ ৮:১৪ এএম

সামরিক শাসনবিরোধী ৩ হাজারের বেশি রাজবন্দিকে সাধারণ ক্ষমা করেছে সরকার। একইসঙ্গে নির্বাচনের আগে সাড়ে ৫ হাজারেরও বেশি সাধারণ বন্দির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এপি, নিক্কেই এশিয়ার

জান্তা সরকারের সাধারণ ঘোষণায় মিয়ানমারের সাবেক নেত্রী অং সান সু চি থাকবেন কিনা; তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে কার্যত অজ্ঞাত স্থানে বন্দি রয়েছেন সু চি।

এমআরটিভি জানিয়েছে, মিয়ানমারের নির্বাচন পরিচালনা করা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও শান্তি কমিশন রাজবন্দিদের সাধারণ ক্ষমা মঞ্জুর করেছে। ৩ হাজার ৮৫ জন বন্দি দণ্ডবিধির ৫০৫(এ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তাদেরকে মুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়।

তাদের অপরাধ ছিল- বক্তব্য দিয়ে জনসাধারণের মধ্যে অস্থিরতা বা ভয় তৈরি করা। জান্তাবিরোধী মন্তব্য করা বা ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর ফলে অপরাধ করেছেন তারা। উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে এসব রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। মিয়ানমারে উস্কানিমূলক এমন অপরাধে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
এসব বন্দিরা কখন মুক্তি পাবেন, তা বলা হয়নি। তবে অতীতের সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি পেতে বেশ কয়েকদিন সময় লেগেছে।

ঘোষণা অনুসারে, ইতোমধ্যে ৭২৪ জন বন্দিকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। পরে কোনো অপরাধ করলে এসব বন্দিরা আগের সাজাসহ নতুন সাজাও ভোগ করবেন।
পৃথক আরেকটি ঘোষণায় ৫ হাজার ৫৮০ জন বন্দির মুক্তির কথা জানানো হয়। তারা একই অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। এমন অভিযোগে বিচারের পর আত্মগোপনে আছেন, তারাও সাধারণ ক্ষমা পাবেন, এবং তাদের মামলা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বিশিষ্টজনরা বলছেন, এবারের নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হবে না। কারণ, মিয়ানমারে মুক্ত কোনো গণমাধ্যম নেই। জান্তা সরকার সু চির বিলুপ্ত ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি পার্টির বেশিরভাগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার হিসাব রাখে- এমন একটি স্বাধীন সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত সু চিসহ মিয়ানমারে ২২ হাজার ৭০৮ জন রাজনৈতিক বন্দি আটক ছিলেন।

রাজনৈতিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ৮০ বছর বয়সি সু চি ২৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন।

২০২১ সালে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এরপর অনেক প্রতিরোধের হয়। তখন থেকে মিয়ানমারে ব্যাপক সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হয়। দেশটি মৃত্যু রাজ্যে পরিণত হয়।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের নাগরিকদের ‘অস্থায়ী অভিবাসন সুবিধা’ বাতিল করছে যুক্তরাষ্ট্র

টেম্পোরারি প্রোটেকটেড স্ট্যাটাস’ (টিপিএস) কর্মসূচির আওতায় মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য চলমান ‘অস্থায়ী অভিবাসন সুবিধা’ (টিপিএস) বাতিলের ...

শান্তি চুক্তিতে রাজি না হলে ইউক্রেনকে সহায়তা বন্ধের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তির কাঠামোতে সম্মত না হলে কিয়েভকে গোয়েন্দা তথ্য ...

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব গৃহীত

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিষয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এই প্রস্তাবে, ...

মিয়ানমার-থাইল্যান্ডের ৫ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইনে প্রতারণামূলক বিনিয়োগ কেলেঙ্কারি ও জোরপূর্বক শ্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে বার্মা ও থাইল্যান্ডে অবস্থিত পাঁচ ...